কমন সেন্স থাকলে বিএনপি’র ভবিষ্যৎ সবাই বুঝবে-

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা টিভি//বরিশাল প্রতিনিধি:ইসরাইল আলম

কমন-সেন্স-থাকলে-বিএনপির-ভবিষ্যৎ-সবাই-বুঝবে-আমুআওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

আমু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন শাহজাহান ওমর।’

কাণ্ডজ্ঞান থাকলে বিএনপির ভবিষ্যৎ সবাই বুঝবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

বরিশাল নগরের কবি জীবনানন্দ দাশ সড়কে নিজ বাসভবনে বুধবার রাত ৯টার দিকে রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেন আমু। ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উল্লিখিত মন্তব্য করেন তিনি।

আমু বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বোপরি সাংবিধানিক ভিত্তি বজায় রাখার জন্যই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন শাহজাহান ওমর। জাতীয় স্বার্থে যোগদান করার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আজকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ঝালকাঠি-১ সংসদীয় আসন থেকে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভবিষ্যৎ কী একটু কমন সেন্স থাকলে দেশের মানুষ সবাই উপলব্ধি করতে পারে। আমরা আন্দোলন করতাম। হরতালের ডাক দিলে অটোম্যাটিক হরতাল হয়ে যেত, পিকেটিংও লাগত না। পরে আমরা মিছিল করতাম।

‘অথচ গত কয়েক মাস ধরে অবরোধ-হরতালের ডাক দেয়া হচ্ছে, এর মধ্যে গাড়ি-রিকশা সবই চলতেছে, বাজারঘাট চলতেছে। কোনো কিছুতেই মনে হয় না যে, দেশে হরতাল বা অবরোধ চলতেছে। অর্থাৎ এসবে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। আজ বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। জনগণ থাকলে তাদের হরতাল-অবরোধ সফল হতো।’

আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা মারা যাওয়ার পর আমাদের নেতারা সবাই জেলে ছিলেন। তারপরও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে আন্দোলন হয়েছে।

জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার চেষ্টার পরও বিভিন্ন জেলার নেতারা কারাগারে থাকার পরও দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে।

‘আওয়ামী লীগের আন্দোলনে খালেদা জিয়া বাধ্য হয়ে এক মাসের মধ্যে ক্ষমতা ছেড়ে আবার নির্বাচন দিয়েছেন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। এরশাদও পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ আন্দোলন-সংগ্রাম পাকিস্তান আমল থেকে করে আসছে এবং জনগণকে নিয়েই করে আসছে।’

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, ‘আন্দোলন দলের কর্মীর ওপর নির্ভর করে না, আন্দোলন নির্ভর করে জনগণের সম্পৃক্ততায়। জনগণ সম্পৃক্ত থাকলে আন্দোলনে সফল হওয়া যায়, নইলে না।’

ওই সময় ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম পনিরসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।