গুলশান বনানীতে স্পা সেন্টারের নামে চলছে যুবতী নারীদের দিয়ে দেহব্যবসা, দেখার যেনো কেউ নাই।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুন। নিয়ন্ত্রণ করার স্বাধ্য কারোরই নেই এমন অবস্থায় গোটা দেশের। অপরাধীচক্র এখন গলা উঠিয়ে ডাক ছেড়ে অপরাধ করে যাচ্ছে।অপরাধ চক্রের সাথে রয়েছে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও অসাধু ক্ষমতাশালি নেতাদের প্রভাব।
প্রতিবাদ করতে গেলে পড়তে হয় সন্ত্রাসীদের রোষানলে। অনেকেই পোষ্য সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়ে জীবন বিপন্ন,মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়ে জেল হাজতে।যে কারনে প্রতিবাদের সাহস ও ইচ্ছে দুটোই শেষ হয়েছে।
অপরাধের তথ্য দ্বাতা সোর্সদের অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে সেটাও নিয়ন্ত্রণে নেই প্রশাসনের।সামাজিক অবক্ষয়ে সাধারণ মানুষ নিরুপায়। কেউ শোনেনা কারো কথা সংশয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্পা গেস্ট হাউজের অন্তরালে মাদকসেবন,প্রতারনা ও পতিতাবৃত্তি সহ হাজারো অপরাধ এখন সমাজের ছড়িয়ে গেছে । নিয়ন্ত্রণে সোচ্চার নয় প্রশাসন, মাঝে মাঝে দুই একটি অভিযান চালালেও পরক্ষণে নিশ্চুপ হয়ে যায় এসকল অপরাধীরা।
রাজধানীর গুলশান বনানী এলাকার অবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ। দুই শতের অধিক আবাসিক বাড়িতে রয়েছে অবৈধ গেষ্ট হাউজ,সার্ভিস এপার্টমেন্ট,স্পা সেন্টার,শিশা লাউঞ্জ,মাদক ব্যবসা সহ নানা ধরনের অপরাধ।
অসাধু চক্রের প্রতারণার ফাঁদ গেষ্ট হাউজ,রেস্টুরেন্টে আড়ালে শিশাবার,স্পা সেন্টার গুলোতে স্কুল কলেজ পড়ুয়া যুবতী মেয়েদের দিয়ে করছে অনৈতিক কর্মকান্ড সেই সাথে কর্পোরেট চাকুরীজীবি নারীরা প্রতিনিয়ত ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে,সাধারণ গৃহিণীরাও জড়িয়ে যাচ্ছে অপরাধে।
প্রশাসনের কাছে তথ্য দিলেও নিরব ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ রয়েছে। কৌশলী ব্যবসায়ীরা নানা প্রকার প্রলোভন দিয়ে গুটি কয়েক সাংবাদিক পুলিশের যোগসাজশে অপরাধের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় গুলশান দুই এর ২৪নং রোডস্থ ৯১/সি রতনপুর ক্যাসেল নামক বাড়িতে চলছে একটি অবৈধ গেস্ট হাউজ,যার মালিক পায়েল,উপর তলায় রয়েছে জারা পরিচালিত একটি স্পা সেন্টার উক্ত স্থানে ১০/১২জন উঠতি বয়সী যুবতীরা রয়েছে যাদের দিয়ে স্পার নামে চালানো হচ্ছে দেহব্যবসা। সেই সাথে চলছে মাদক ও নারী বানিজ্য। দায়িত্বরত ম্যানেজারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অকপটে সব স্বীকার করেন এবং ফ্ল্যাট মালিকদের উক্ত বিষয়ে জানাবেন বলে প্রতিবেদককে জানায়।
গুলশান ১এর জব্বার টাওয়ার খ্যাত বিল্ডিংয়ের ৯ম তলায় রয়েছে হাসি পরিচালিত স্পা সেন্টার উক্ত ফ্ল্যাটে ১০শে অধিক যুবতীদের মজুদ করে চালানো হচ্ছে দেহব্যবসা।
গুলশান ২এর প্লাডিয়াম মার্কেটের ৩য় তলায় রয়েছে রিয়া/নয়ন পরিচালিত ডায়মন্ড স্পা সেন্টার। গুলশান ১এর ১৩১ নং রোডের ৬০/বি বাড়ির ৪র্থ তলায় চলছে সুলতানা পরিচালিত স্পা সেন্টার। গুলশান-২, রোড নং-৫৫ এর ১২/বি (মেহের নিবাস) নামক বাড়ির ৪র্থ তলায় হাসি পরিচালিত স্পা সেন্টার রয়েছে।
গুলশান ২এর রোড নং-৯৯ বাড়ি নং-৩৩/এ বাড়ির ৬তলায় রয়েছে বাহার পরিচালিত স্পা সেন্টার।বিভিন্ন বয়সী নারীদের দিয়ে চালাচ্ছে দেহব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে প্রতারণা ও মাদক ব্যবসার।
তানভীর পরিচালিত গুলশান-২,লেক পার্ক সংলগ্ন ৬৮/এ রোডের ১৫ নং বাড়িটি অবৈধ গেষ্ট হাউজের অন্তরালে নারী,মাদক, ডিজে পাটি সহ স্পা সেন্টার চালিয়ে আসছে। পরবর্তী পর্বে গুলশান বনানীর আরো প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।