চুয়াডাঙ্গায় শৈতকালীন বর্ষা
চুয়াডাঙ্গা পতিনিধিঃ
বায়েজিদ জোয়ার্দার
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতের সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।বিপাকে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ জন।আজ চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
অদ্য ১৮ই জানুয়ারি ২৪ইং বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৪৫ থেকে সকাল ৮ টা ১০মিনিট পযন্ত বৃষ্টি পাত হয়।এসময় ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি পাত রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় প্রথম শেনীর আবহওয়া পর্যবেক্ষণের সুত্রে জানা গেছে,চুয়াডাঙ্গা থেকে থেমে থেমে মৃদ শৈত্য প্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে।
গতশুক্রবার( ১২ই জানুয়ারি ) ৯দশমিক ৬ডিগ্রী সেলসিয়াস শনিবার ৯ দশমিক ৫ডিগ্রী সেলসিয়াস রবিবার ৯দশমিক ৮ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। তাপমাত্রা সোমবার ও মঙ্গলবার কিছুটা বেড়ে ১০দশমিক ৯ ও ১২দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস হলেও বুধবার তা আবার নেমে আসে ৯ দশমিক ৮ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৬.00সময় এই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৯.০০ সময় একই তাপমাত্রা ছিল। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তীব্র শীত আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হয়নি।
সড়কে যানবাহন চলাচলও অনেক কম।এই বৈরী আবহওয়ায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনের শুরুতে এমন বৃষ্টি তাদের কাজর বাগড়া দিয়েছে। ফলে এক প্রকার অলস সময় পার করছে তারা।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার রিক্সা চালক রাজিবুল বলেন সারা দিন ধরে শীতে তাদের যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। তার ওপর আবার বৃষ্টি তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। চুয়াডাঙ্গা আবহওয়া পর্যবেক্ষণের সিনিয়র আবহওয়া পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান বৃষ্টিপাত আপাতত শেষ হয়েছে।
এতে ঘন কুয়াশাও কমবে। তবে শীতের তীব্রতা বাড়বে।চুয়াডাঙ্গায় শৈতকালীন বর্ষা, বড়ই মাধুর্য। চুয়াডাঙ্গা জেলা সব কিছুতেই আগেই আছে। গরমে কিংবা শীতে।