আট দফা দাবিতে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি
মো: ফিরোজ আহম্মেদ তালিব
সদর উপজেলা বিশেষ প্রতিনিধি, যশোর।
রোববার আট দফা দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। দাবির মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের পাঠ মৃল্যায়ন চালু করা, এমবিএ চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) চালু করা এবং চলতি বছর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট (এমজিটি) বিভাগে এমবিএ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পারফর্ম চলাকালে ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা ২৪ ঘণ্টা আবাসিক জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ মোট ৮ দফা দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
দুপুর দেড়টায় যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের নিচে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এবং মানববন্ধন পরবর্তী সময়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে এক শিক্ষার্থীর নাচ প্রদর্শনের সময় প্রায় ২০-২৫ টি ডিম নিক্ষেপ করা হয়।
এই ধরনের কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সংস্কৃতির উপর আঘাত। ডিম নিক্ষেপের ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমাদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো: শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের পাঠ মূল্যায়ন চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) চালু করা এবং চলতি বছর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট (এমজিটি) বিভাগে এমবিএ ইন
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পারফর্ম চলাকালে ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা, ২০২৩ সালে শহীদ মসিয়ুর রহমান হলে ২০১৭-১৮ সেশনের স্নাতকোত্তরের সকল
শিক্ষার্থীদের এক বছরে দুইবার হল ফি নেওয়া ও একই বছরে মোট তিনবার হল ফি দেওয়ার অযৌক্তিক নোটিশ দেওয়ার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে শিক্ষার্থীদের বাকি অর্থ ফেরত দেয়া, ২৪ ঘণ্টা আবাসিক জরুরি চিকিৎসা সেবা চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়া নিম্নমূল্যে সঠিক পুষ্টিগুণ স¤পন্ন খাবার প্রদান করা,
বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন ফি’র নামে অযৌক্তিক ফি চলতি বছর থেকে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে ও প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে মৌলিক গানের ব্যান্ডের জন্য নির্দিষ্ট বাজেট নির্ধারণ করা।