শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার পতাকা স্ট্যান্ডে শ্রদ্ধা নিবেদন
মো:আরিফুল ইসলাম
যশোর জেলা প্রতিনিধি।
বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল ও স্মৃতিবিজড়তি একুশে ফেব্রুয়ারির বাহাত্তর বছর পূর্ণ হলো। যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কেশবপুরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
তবে এবারও নিজের প্রতিষ্ঠানে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি কেশবপুর উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
নিজেদের প্রতিষ্ঠানে কোনো শহীদ মিনার না থাকায় এসব শিক্ষার্থীকে যেতে হয়েছে নিকটবর্তী শহীদ মিনারে। কোন কোন বিদ্যালয় বেঞ্চ সাজানো শহীদ মিনার বা পতাকা স্ট্যান্ডে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
তবে নিজেদের বিদ্যালয়ে ও নিকটবর্তী শহীদ মিনার না থাকায় পতাকা স্ট্যান্ডে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে কেশবপুর উপজেলার কুশলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কুশলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল হক বলেন, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি।
তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং পতাকা স্ট্যান্ডে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ উপজেলায় ১৫৮টি প্রাথমিক, ৭৪টি মাধ্যমিক, ৫২টি মাদ্রাসা, ১৪টি কলেজ এবং ১৫টি প্রি-ক্যাডেট মিলে মোট ৩১৩ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ২০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই।
কেশবপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ আব্দুর রব গ্রামের কাগজকে বলেন, ‘উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫৮টি।
এরমধ্যে মাত্র ২৩টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেই প্রতিষ্ঠানগুলো পার্শ্ববর্তী যে কোনো শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার কথা।
আমার জানা মতে, পতাকা স্ট্যান্ডে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার কোনো বিধান নেই। এটি আসলেই দুঃখজনক ঘটনা। তবে কেউ পতাকা স্ট্যান্ডে ফুল দিয়ে থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’