#নিষ্প্রাণ_মুক্তিযোদ্ধা_কমপ্লেক্স”
দীর্ঘ ৭ বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন না হওয়ার কারনে বর্তমানে প্রায় নিষ্প্রাণ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো দীর্ঘ সময় নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।
দীর্ঘ সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন না হওয়ার কারনে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব এখন প্রকট আকার নিয়েছে।মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃত্বে কারা থাকবে প্রশাসক না মুক্তিযোদ্ধারা এ প্রশ্ন এখন সবার।
বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহৎ উদ্দেশ্যে সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন যাতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের আয়ের অর্থ দিয়ে স্থানীয় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাতে আর্থিক সচ্ছলতা আসে।
কিন্ত্ দীর্ঘসময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন না হওয়ার কারনে এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা না থাকার কারনে এর সুফল মুক্তিযোদ্ধারা পাচ্ছেন না।
দেশের বেশিভাগ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স গুলো এখন তালাবদ্ধ থাকে।শুধুমাত্র মাত্র জাতীয় দিবসগুলো ছাড়া বছরের বেশিভাগ সময় তালাবদ্ধ থাকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদে নির্বাচিত কমিটি না থাকার কারনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধারাও সেভাবে আর আসেন না।মুক্তিযোদ্ধারা মনে করেন এ সবকিছু থেকে উত্তরণের এক মাত্র পথ তা হলো দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন।তবে
একটি প্রভাবশালী চক্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন চাচ্ছেন না,কারন ভূয়া তৈরীর কারখানা #জামুকাকে ব্যবহার করে তারা অবৈধ বানিজ্য করতে চান।কারন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হয়ে গেলে তাদের সবরকম অবৈধ বানিজ্য অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে।
যারা এই চক্রের সদস্য তারা প্রভাবশালী হলেও হাতেগোনা কয়েকজন।তবে দেশের ৯৯% বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের পক্ষে।তারা মনে করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সাংগঠনিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আসবে।মুক্তিযোদ্ধা সংসদের গৌরবময় ইতিহাস পুনরুদ্ধার হবে।
যেহেতু বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এজন্য মুক্তিযোদ্ধারা শতভাগ আশাবাদী নেত্রী অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন অনুষ্টানের লক্ষ্যে সবরকম ব্যবস্থা তিনি গ্রহণ করবেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের চিরচেনা আপন ঠিকানায় মুক্তিযোদ্ধারা ফিরিয়ে যেতে চান এজন্য প্রয়োজন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের।পরিশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের দাবি সফল হোক।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি” আমিন।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।