ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি দামে গরুর মাংস বিক্রিতে অপারগতা।
=========================ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি =============
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্য ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। ফলে সব মাংসের দোকান বন্ধ রেখেছেন তারা। সকাল ১০টায় চেম্বার অব কমার্স ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করবে মাংস ব্যবসায়ীরা। বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্তে আসবে তাদের।এর আগে সোমবার বিকেল থেকে জেলা শহরের প্রধান বাজার আনন্দবাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজারসহ জেলা শহরের অন্তত অর্ধশতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
এ অবস্থায় বাজারে এসে সাধারণ ক্রেতারা গরুর মাংস না পেয়ে বিপাকে পরেছেন।মাংসের দাম পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মাংস ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা জনগণের চাহিদা ও ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করেই মাংস বিক্রি করে থাকি।
সরকার আমাদের যে বাজার দর দিয়েছে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা দর। এই দরে মাংস বিক্রি করে আমাদের ব্যবসার লোকসান হবে। তাই আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা খামারি এবং ব্যাপারি থেকে গরু সংগ্রহ করে থাকেন, তারা চামড়াসহ আস্ত গরু ক্রয় করে বাজারে জবাই করে থাকেন।
এতে ৭২০ টাকার মতো প্রতি কেজিতে দাম পড়ে। এ অবস্থায় সরকার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়না নির্ধারণ করেছে। তা আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অবশ্যই দাম সমন্বয় করতে হবে।
কারণ খামারে গরুর দাম কমাতে হবে। দাম পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় এই মাংসের বাজার বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।
এদিকে শহরের ফারুকী বাজারে বাজার দরের লিফলেট বিতরণকালে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মচারী মো. পলাশ মণ্ডল জানান, মহাপরিচালকের কার্যালয়ের নির্দেশনা ক্রমে বাজারে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এর বেশি আমার জানা নেই।