মানিকগঞ্জে হরিরামপুর আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা টিভি মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো:আজহার হোসেন।
হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের অনুসারীরা সাবেক এমপি মমতাজ বেগমের অনুসারীদের ওপর বৃহস্পতিবার ৪ই এপ্রিল হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন-উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রজ্জব আলী এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জনি।
তাদের মধ্যে রজ্জব আলী ও জনি হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ফরিদ মোল্লা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হরিরামপুরে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জনাব দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু।
অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের অনুসারীরা কন্ঠ শিল্পী সাবেক এমপি মমতাজ বেগমের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামলার শিকার যুবলীগ নেতা ফরিদ মোল্লা বলেন, ‘ইফতার করে নামাজের উদ্দেশে যখন বের হই, তখন উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমরা দেওয়ান সাইদুরের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে তার সাথে কাজ না করায় প্রতিহিংসায় আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।’
‘দেওয়ান সাইদুরের ছেলে নবীনুর, এরশাদ, রানা, রফিক ও দেওয়ান মুরাদসহ বেশ কয়েকজন মিলে এ হামলা করেছে,’ বলেন তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তামজিদ উল্লাহ প্রধান লিল্টু বলেন, ‘দেওয়ান সাইদুর রহমান আমাদেরকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখান।
জানতে চাইলে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে দেওয়ান সাইদুর রহমানের ছেলে দেওয়ান নবীনুর বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি এলাকাতেই ছিলাম না। আমি ঢাকা গিয়েছিলাম। ঢাকা থেকে সাড়ে ৮সাড়ে আটটা -৯টার দিকে ঢাকা থেকে আসি।
যোগাযোগ করা হলে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার লোকজনের বিরুদ্ধে পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তারা নিজেরা মারামারি করে আমার লোকজনের ওপর দায় চাপাচ্ছে।’
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ নূর এ আলম বলেন, সেখানে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। আমরা কাছাকাছিই ছিলাম।
পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে । এ ঘটনায় এখনো কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।’