যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন, মামলা হওয়ার পরও আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে।
প্রতিবেদন;
রাকিব আল হোসাইন শিমুল, চট্টগ্রাম
পটিয়া থানার অন্তর্গত বীর মুক্তিযোদ্ধা কালাম আহম্মদের কন্যা ফারজানা সুলতানা (২২)এর’ সাথে গত ২৮মে ২০২৪ইং তারিখে কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত কোরবানীগঞ্জের
বালুয়ারদিঘির পূর্বপাড়া, আনিস টাওয়ারে বসবাসরত মোহাম্মদ ইদ্রিস আল ফায়েদ(২৭) পিতা: আনিস আহমেদ মাথা: ফরিদা আনিস এর সাথে ইসলামিক শরীয়াহ মোতাবেক সামাজিকভাবে বিবাহ হয়।
বিবাহের পর সংসার জীবন কিছুদিন সুখের থাকলেও যৌতুকের জন্য ফারজানা সুলতানা কে নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত শাশুড়ী ফরিদা আনিস, সামী ফায়েদ ও দেবর আতিক আহমেদ (২০). যৌতুকের জন্য অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে ফারজানা সুলতানা তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমেদকে বিষয়টি জানালে,
মেয়ের সুখ শান্তির কথা ভেবে পর্যাক্রমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে যৌতুক বাবদ সর্বমোট ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেন, তারপরও কোন প্রকার সুখ শান্তির দেখা মিলল না ফারজানা সুলতানার কপালে।
এরই মাঝে মোঃ ইদ্রিস আল ফায়েদ পূর্বের ন্যায় গত ৯ই এপ্রিল ২০২৪ তারিখে ভোর অনুমানিক ৫ঃ৩০ ঘটিকার সময় যৌতুকের হিসাব বাবদ বিশলক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য বলেন স্ত্রী ফারজানা সুলতানা’কে, তাতে অপারগতা প্রকাশ করিয়া প্রতিবাদ করলে তাহার শাশুড়ি ফরিদা আনিস ও দেবর আতিক আহমেদের সহযোগিতায় স্বামী ফায়েদ বাসায় থাকা লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে মারাত্মক জখম ও রক্তাক্ত করে।
এক পর্যায়ে ফারজানা সুলতানার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী এগিয়ে আসলে তাদের সহযোগিতায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফারজানা সুলতানা পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলে, পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমেদ ও ভাই ওমর ফারুক ও চাচাত ভাই জয়নাল আবেদীন ঘটনাস্থলে গিয়ে আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা
ফারজানা সুলতানাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের ২৮ নাম্বার ওয়ার্ড ৩৫ নম্বর বেডে ভর্তি করিয়া চিকিৎসা প্রদান করেন।
তারপরও একটা আপোষ মীমাংসা করে মেয়ের সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও ফের ব্যর্থ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা কালাম আহম্মদ। পরবর্তীতে ফারজানা সুলতানা নিজ পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া গত ১৫ এপ্রিল কোতোয়ালি থানায়
স্বামী ইদ্রিস আল ফায়েদ(২৭) শাশুড়ি ফরিদা আনিস(৪৮)ও দেবর আতিক আহমেদ এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ধারা; নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০(সংশোধিত ২০২০)এর ১১(খ)/৩০।
যৌতুকের জন্য মারধর করিয়া গুরুতর জখম ও সহয়তা করার অপরাধ।
বিষয়টি কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর সজীব কুমার আশ্চার্য্য কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়, মামলার বেশকিছু দিন পেরিয়ে গেলেও,এখনো পর্যান্ত আসামি গন ধরাছোয়ার বাইরে বলে জানা যায়।