জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও
জেলা শিক্ষা অফিসের প্রতি নিবেদন…………………..
===============================জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ==========
সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় যথেষ্ট উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর ছিল।
৯ টি উপজেলার অগণিত শিশু কিশোরদের কিচির মিচিরে মুখরিত ছিল গভ: মডেল গার্লস হাই স্কুল অডিটরিয়াম। খেলাঘর বিভিন্ন আসরের ভাই বোনদের অংশ গ্রহণ করায় আয়োজনটি দেখার সৌভাগ্য হয় বিদ্যুৎ দার প্ররোচনায়।
আজ যারা প্রথম হয়েছে তারা অচিরেই বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। যারা বিজয়ী হয়েছো তাদের অভিনন্দন আর যারা বিজয়ীর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে গেছো তোমরা নব উদ্যমে শুরু করার আহবান রইল।
তবে অনেকেরই হতাশার কথা বলতে শুনেছি, আক্ষেপের সুর শুনেছি, কষ্টের যন্ত্রণা দেখেছি। জেলা শিক্ষা অফিস চাইলে তাদের পাওয়া না পাওয়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারত। উপজেলা পর্যায়ে যারা প্রথম তারাই উপজেলার বিচারক দ্বারা পরীক্ষিত হয়েই এসেছেন তাহলে জেলা পর্যায়ে কেন উপজেলা থেকে বিচারক রাখা হয় না। প্রতিটি উপজেলা থেকে ২ জন করে বিভিন্ন বিষয়ে বিচারক আমন্ত্রণ করলে ১৮ জন হয়।
এই ১৮ জনকে দিয়েই ৩/৪ গ্রুপ করে বিচার কার্য সম্পন্ন করলে সময় এবং কষ্ট কম হতো। দুপুরের মধ্যেই ফিরে যেতে পারত নিজস্ব গন্তব্য। সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ৩ বিচারক গরম, চিৎকারে পাগল হবার উপক্রম। তারা নিশ্চয় রোবট নয়! ইংরেজি বক্তব্য একজন দেখে দেখে বললেন অন্যজন না দেখে বললেন। এটা সমীচীন হয়নি। নাচ নিয়েও অনেকে ক্ষোভ ঝরালেন।
শিশু কিশোররা আগামীর ভবিষ্যৎ তাদের মেধা, সৃজনশীল ও সহ পাঠ কার্যক্রমকে যথাযথ লালন করি। আক্ষেপ, হতাশা আর কষ্ট থেকে মুক্তি দেই। জেলা শিক্ষা অফিস আরো দায়িত্বশীল ও দক্ষতার সাথে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি পালনে ভূমিকা রাখবে সেই প্রত্যাশায়।